কলকাতা: ত্রিপুরা সরকার ও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার আহত যুবনেতাদের দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, “আমাদের ছাত্রনেতাদের পুলিশের সামনে দাঁড় করিয়ে মারা হয়েছে ৩৬ ঘণ্টা ওদের কোনও চিকিৎসা করতে দেওয়া হয়নি এমনকি সামান্য পানীয় জল পর্যন্ত তাদেরকে দেওয়া হয়নি। এর আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্তা করা হয়েছে। ওর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি নিশ্চিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নির্দেশে সুপরিকল্পিতভাবে হামলা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর এত সাহস নেই। যারা অত্যাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এসব করে তৃণমূলকে রোখা যাবে না।” এভাবেই কলকাতা থেকে ফের একবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন এগারোটা কুড়ি মিনিট নাগাদ ঝাড়গ্রাম যাবার পথে হাসপাতালে হঠাৎই চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। খোঁজ নেন ত্রিপুরা আহত ও সুদীপ জয়া শারীরিক অবস্থা। হাসপাতলে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
এরপর হাসপাতালে দেখতে এসেছিলেন কামারহাটি বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি জানান, ত্রিপুরায় যে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের মেরেছে। তাদের ট্রিটমেন্ট করার মতন ব্যাকআপ বেঙ্গলের আছে। কিন্তু ত্রিপুরা কর্মীদের কোনও ব্যাকআপ নেই। আসতে হবে পশ্চিমবঙ্গে। দলের কোটি কোটি লক্ষ কর্মীরা তৈরি আছে। বাংলা ত্রিপুরায় মোকাবেলা করতে তৈরি রয়েছে। শুধুমাত্র দলের এই নির্দেশের অপেক্ষায়।