নদীয়া কৃষ্ণনগর:- কৃষ্ণনগর পৌরসভার স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীরা। যার জেরে অচলাবস্থা হয়ে পড়ে পৌর পরিষেবা। অস্থায়ী কর্মীদের দাবি তারা বিগত ছয় মাস ধরে নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেও সেই মোতাবেক কোন সুফল তারা পাননি । জারজেরে তারা আজ আন্দোলনের পথ বেছে নিলেন। বছর দেড়েক আগে অস্থায়ী কর্মী শিকারি হাড়িকে পৌর প্রশাসন কাজ থেকে বসিয়ে দিলে সে আত্মহত্যা করে। মৃত শিকারি হাড়ির পরিবারকে পৌরসভা তরফ থেকে একটা চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু সেই মোতাবেক সেই পরিবার আজও চাকরি পাননি। দীর্ঘদিন যাবৎ মজদুর পদে কর্মরত স্থায়ী কর্মীদের চাকরি জীবনের অন্তিম লগ্নে হালকা কাজ দিতে হবে। সকল অস্থায়ী কর্মীদের সাপ্তাহিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে। সকল অস্থায়ী কর্মীদের E.P.F এর আওতায় আনতে হবে। স্থায়ী কর্মচারীদের এমপ্লয়ী সার্টিফিকেট ও ফর্ম 16 দিতে হবে। উন্নয়নের স্বার্থে শহরকে পরিষ্কার রাখতে অবিলম্বে সাফাই কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। করোনা মহামারীতে জরুরি করণ বস তো ছুটির দিনে যে কাজ করানো হয়েছে তার পারিশ্রমিক অবিলম্বে মেটাতে হবে। আজ এই একাধিক দাবি নিয়ে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন যার জেরে পৌরসভার কাজকর্ম বন্ধ থাকে। তাদের দাবি-দাওয়া না মানা হলে আজ থেকে আগামী দিনও তারা কর্মবিরতি রাখবেন বলেও জানান।