
বালুরঘাট, ২৬ ডিসেম্বরঃ চিটফান্ডে টাকা রেখে সর্বশান্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ। আমানতকারিদের জমানো টাকা ফেরৎ দেওয়ার দাবিতে ফের একবার পথে নামল চিটফান্ডের এজেন্টরা। মঙ্গলবার বিকেলে টাকা ফেরতের দাবিতে বালুরঘাটে এক প্রতিবাদ মিছিল ও বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল শতাধিক চিটফান্ড এজেন্ট। এরপর নিজেদের দাবিদাওয়া বিডিও-র হাতে তুলে দেন। টাকা ফেরত না পেলে আগামী দিনে তারা আরও বড় আন্দোলনে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে অল বেঙ্গল চিটফান্ড ডিপোজিটারস্ এন্ড এজেন্ট ফোরামের পক্ষ থেকে।
প্রসঙ্গত, বছর আটেক আগে সারা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুরেও একাধিক চিটফান্ডের রমরমা মার্কেট ছিল। কম সময়ে বেশি টাকা এমন লোভনীয় অফারে লক্ষ লক্ষ মানুষ কোটি কোটি টাকা চিটফান্ডে বিনিয়োগ করেছে। ২০১২ সালে হঠাৎই একের পর এক চিটফান্ড বন্ধ হতে থাকে। এই মুহূর্তে ৫০০ বেশি চিটফান্ড বা বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে। আমনতকারিদের পাশাপাশি রাস্তায় বসেছে হাজার হাজার এজেন্ট। চিটফান্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে এজেন্টদের বাড়িতে হামলা থেকে মানসিক চাপ অব্যাহত আমানতকারিদের। বর্তমানে এই সব এজেন্টরা হতাশাগ্রস্ত। মানসিক ভাবে ভেঙে প’ড়ে ৩৩৫ জন এজেন্ট এখন পর্যন্ত আত্মঘাতী হয়েছে। বহু এজেন্ট ঘরছাড়া এখনও। বিষয়টি নিয়ে বারবার রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের দ্বারস্থ হলেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই ফের একবার আমানতকারিদের টাকা ফেরত পাইয়ে দিতে পথে নেমেছে এজেন্টরা। এদিন বিকেলে বালুরঘাট আর্য্যসমিতি মাঠ থেকে এক প্রতিবাদ র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি সারা শহর পরিক্রমার পর বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। এবং নিজেদের দাবি দাওয়া বিডিও-র হাতে তুলে দেন।

এবিষয়ে অল বেঙ্গল চিটফান্ড ডিপোজিটারস্ এন্ড এজেন্ট ফোরামের দক্ষিণ দিনাজপুর শাখার সম্পাদক বীজন দাস জানান, আমানতকারিদের টাকা ফেরত দিতে তারা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজ্য থেকে কেন্দ্র সরকারের দ্বারস্থ বেশ কয়েকবার হয়েছেন। তবুও কিছু লাভ হয়নি। তাই একই দাবিতে ফের একবার আন্দোলনে নেমেছেন তারা। আর পাঁচজনের মত তারাও মাথা উঁচু করে সমাজে বাঁচতে চান।

বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন বালুরঘাটের বিডিও সুষ্মিতা সুব্বা।