
হিলি, ৭ জুন: রোজ দিনই সময় মত স্কুলে আসেন না শিক্ষিকারা। স্থানীয় অভিভাবকরা বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বৃহস্পতিবার নানান অভিযোগ তুলে তালা ঝুলিয়ে দিল অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে। শিক্ষিকা ও কর্মীকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায়। দীর্ঘ দিনের সমস্যা সমাধানের জন্য তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। হিলি ব্লকের ৪নং বিনশিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নওপাড়া অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের ঘটনা। খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে আসে হিলি ব্লক প্রশাসন। তারপর ঘেরাও মুক্ত হন শিক্ষিকারা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস হিলি ব্লক প্রশাসনের।
জানা গিয়েছে, হিলি ব্লকের ৪নং বিনশিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নওপাড়া অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রটিতে ২০-৩০ জন মত পড়ুয়া রয়েছে। সেখানে একজন শিক্ষিকা ও একজন কর্মী রয়েছেন। অভিযোগ, অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রে রোজ দিনই দেরি করে আসে শিক্ষিকা থেকে সহকারি কর্মীরা। এক দুদিন থেকে নয় এই সমস্যা দীর্ঘ চার বছর ধরে চলে আসছে। বছর চারেক আগে থেকে ১৩৫ নং অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে চলছে এই সমস্যা। চার বছর আগে এই অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রটি ছিল স্থানীয় একজনের বাড়িতে। সেখানে থেকে নিজস্ব ভবনে স্থানান্তারিত করা হয়। এর পর থেকে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়।

আরও অভিযোগ, অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের খাবারের গুণগত মান খুবই খারাপ দেন। অকারণে শিশুদের উপর খারাপ ব্যবহার করেন তিনি। এই সবের প্রতিবাদে এদিন তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামীবাসীরা। যদিও এই বিষয়ে অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রের শিক্ষিকা শুভ্রা শীল সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।

এবিষয়ে গ্রামবাসী সুচিত্রা বর্মণ জানান, “দীর্ঘ দিন থেকে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের শিক্ষিকারা সময় মত আসেন না। খাবারের গুণগত মান খুব খারাপ দেন তারা। বাচ্চাদের লাঠি দিয়ে মারধর করেন শিক্ষিকারা। আমরা দেরি করে এলে খাবার দেওয়া হয় না। আমরা চাইছি শিশু যেন ভাল পড়াশোনা করতে পারে এর পাশাপাশি খাবার গুলি যেন ভাল দেওয়া হয়।”
অপর দিকে স্থানীয় বাসিন্দা দুলালী বর্মণ জানান, “চার বছর আগে সব কিছু সুস্থ, এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল কিন্তু এখন আর সুস্থ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আর নেই। এখন আর মাদার মিটিং করা হয় না এই অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে। শিশুদের বকুনি দেওয়া হয় এবং খাবার ভাল মানের দেওয়া হয় না। প্রায় শিক্ষিকারা সকাল ৯.৩০ থেকে ১০ এরপর অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে আসেন।”

অন্য দিকে হিলি ব্লকের বিডিও সঞ্জয় সুব্বা জানান, বিষয়টি শুনেছেন তিনি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে।