
মালদা, ৭জুলাই:বিগত বছরের ঘা যেন এখনো তাজা।মরসুমের শুরুতেই রাক্ষুসে রূপ নিয়েছে নদী।উত্তরবঙ্গ জুড়ে টানা বৃষ্টির জেরে বিপদ সীমার কাছে এসে পৌঁচেছে মালদার গঙ্গা-ফুলহারের জলস্তর।ইতিমধ্যেই নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ গ্রামে।ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পারে ভাঙ্গন,যা ভয়াবহ রূপ নেবে তা বিগত বছরের ভালোই অভিজ্ঞতা রয়েছে গ্রামবাসীর।বন্যা পরিস্থিতি রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দা ও বিলাইমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ গ্রাম জুড়ে।গৃহবন্দী প্রায় ৭-৮ হাজার মানুষ।তবে এলাকায় এখনো পৌঁছায়নি কোনো সরকারি সাহায্য বলেই অভিযোগ।যদিও ব্লক প্রশাসনের দাবি এখনো পর্যন্ত কোনো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
বিগত বছর কয়েক ধরে মালদা জেলার ভাঙ্গন ও বন্যা নজর কেড়েছে রাজ্য-কেন্দ্র দুই সরকারের।গত বছর রাজ্যের অনন্য জেলার মতো বন্যায় প্লাবিত হয়েছে মালদা জেলার ১৫ টি ব্লকই,বাদ পড়েনি শহর এলাকা গুলিও।নিজের সর্বস্ব হারিয়ে পথের ভিকেরিও হয়েছে হাজার হাজার পরিবার।বিঘার পর বিঘা চাষের জমি,বাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজের গর্ভে ধারণ করেছে গঙ্গা-ফুলাহার।এবছর মরসুমের শুরুতেই বন্যা পরিস্থিতি জেলায়।রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দা ও বিলাইমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নতুন বিলাইমালি,সম্বলপুর,খাসমারী সহ ১০-১২ টি গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে।উঁচু স্থান আশ্রয় নিয়েছে পরিবার গুলি।এখনো কোনো রকম সাহায্য গ্রামে এসে না পৌছানোই প্রশাসনের উদাসীনতাকেই দায়ী করছে এলাকাবাসী।যদিও ব্লক প্রশাসন দাবি করেছেন, এখনো কোনো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।

এলাকাবাসীরা জানান,”বিলাইমারী ও মহানন্দা অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা আজ বিপর্যস্ত।এক গ্রাম থে ওপর গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে।দিন কয়েক ধরে জল গ্রামে ঢুকছে।এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের নজর দেইনি।গবাদী পশুদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছে মানুষেরা।ফসল তলিয়েছে জলে।বর্তমানে এলাকায় নৌকোর খুবই প্রয়োজন রয়েছে।প্রশাসন দ্রুত দৃষ্টি না দিলে হয়তো এবারে আর রক্ষা নেই”।

উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে ক্রমে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গঙ্গা-ফুলহারের জলস্তর।বিগত বছরের মতো এবছরও করুন অবস্থার সম্মুখীন হবে জেলার মানুষ ? বর্ষার শুরুতেই নদীর এমন রূপ দেখে রাতের ঘুম কেড়েছে নদী তীরবর্তী পরিবার গুলির।