
জলপাইগুড়ি, ১৩ জুলাই: ডুয়ার্সের বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা বীর বিরসা মুন্ডা বস্ত্র ব্যাঙ্ক ও আশ্রয় গৃহের প্রতিষ্ঠাতা সাজু তালুকদার বাংলার জনপ্রিয় টেলি শো “দাদাগিরি”তে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন, যাতে তিনি লিখেছেন, “আমি দাদাগিরি থেকে ফিরে এসে পাগলের মত খুঁজছিলাম যে, কে পাঠাল আমার মত এই সাধারণ মানুষটার নাম দাদাগিরিতে? অনেকে আবার আকার ইঙ্গিতে এমন ভাব করতেন যে মনে হত আমার সামনের লোকটি বুঝি সব করে দিয়েছেন। কিন্তু গত ১ জুলাই গিয়েছিলাম দমদম। দুপুরে জী বাংলার অনির্বাণ দার বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করি। খাওয়া দাওয়া সেরে অনির্বাণদার সাথে গল্প করছি। কথা প্রসঙ্গে অনির্বাণদা আমায় জিজ্ঞেস করলেন যে আপনি কি জানেন আপনার নাম ও মোবাইল নাম্বারটা কে দিয়েছেন আমাদের? বললাম না। আর আমি তো তাকে হন্নে হয়ে খুঁজছি, যে তাকে একটু ধন্যবাদ জানাব না? যে আমাকে এতো বড় মঞ্চে যাবার সুযোগ করে দিয়েছেন। তখন অনির্বাণ দা আমাকে বোনটির ছবি দেখিয়ে বললেন এনি হলেন জলপাইগুড়ির সুদীপ্তা ঘোষ, দাদাগিরিতে এসেছিলেন।
হ্যাঁ, সাজু বাবুর সাথে আমার পরিচিতি অনেক দিনের। সাজু বাবুর মহান কাজের আমি একজন ক্ষুদ্র অনুঘটক মাত্র। সাজু বাবুকে আমি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে পুরোনো জামা কাপড় সংগ্রহ করে দিয়ে থাকি। সুদীপ্তাও আমার পরিচিতা। একদিন সুদীপ্তা ফোন করে আমায় জানালো, জী বাংলা থেকে অনির্বান দা ওকে ফোন করে সাজু তালুকদারের ঠিকানা আর ফোন নম্বর জানতে চেয়েছে দাদাগিরির জন্য। আমার কাছে থাকলে আমি যেন দিই। আমি সঙ্গে সঙ্গে সুদীপ্তাকে তথ্য গুলো দিয়ে দিই।

এরপর সাজু বাবুর সাথে আমার অনেকবার দেখা বা কথা হয়েছে। সাজু বাবু আমাকে জানিয়েছেন দাদাগিরিতে ডাক পাওয়ার কথা। দাদাগিরি টিম সাজু বাবুর বাড়িতে আসে, শুটিং হয়। সাজু বাবু সেই শুটিং দেখার জন্য আমাকে বারবার অনুরোধ করে ছিলেন, আমি কাজের চাপে যেতে পারিনি। তারপর সাজু বাবু কলকাতা যান এবং দাদার সাথে দাদাগিরিতে অংশ নেন। কিন্তু সাজু বাবু কোনদিনও আমার কাছে কে তার নাম পাঠিয়েছে জানতে চাননি। আমিও এনিয়ে কোন কথা বলিনি।

সাজু তালুকদার আজ ফোনে আমাকে জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়িই তিনি জলপাইগুড়ি এসে বোন সুদীপ্তার সাথে সাক্ষাৎ করে ধন্যবাদ জানাবেন। আমরাও প্রতীক্ষায় রইলাম সেই মুহূর্তের সাক্ষী হবার জন্য।